Thursday 5 November 2015

ছাত্র-যুববান্ধব ও খ্রীষ্টভক্ত সুহৃদ আর্চবিশপ টি,এ,গাঙ্গুলী : শেষ পর্ব





হাসনাবাদ গির্জার সামনে গাঙ্গুলী।






--- ডাঃ নেভেল ডিঃ রোজারিও



(পূর্ব প্রকাশের পর)
একুশে ফেব্রুয়ারী  আর্চবিশগ গাঙ্গুলী : 

বাঙ্গালীর প্রাণের ভাষা মাতৃভাষাকে পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবীতে বুকের রক্ত ঢেলে আত্মাহূতি দিয়েছিল ভাষা শহীদরা ১৯৫২ সনে বাংলার সে সব দামাল ছেলেদের স্মরণে ছাত্র-ছাত্রীরা এর পর থেকে প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারীকে পালন করতো  শহীদ দিবস হিসেবে স্বাধীনতা পরবর্তী কালের এখনকার মত এতটা সার্বজনীনতা ২১শে ফেব্রুয়ারী পাকিস্থানী আমলে তখনও পায়নি ছোটকাল থেকে  প্রতিবছর শহীদ দিবস উদ্যাপন এর কর্মসূচীতে দেখতাম ভাষা শহীদদের আত্মার কল্যাণার্থে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা এবং গীর্জায়  উপাসনার ব্যবস্থা কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কোন গীর্জায় ধরণের কোন প্রার্থনা হতে দেখিনি উনসত্তুরের গণ-আন্দোলন শেষে সত্তুরের শহীদ দিবসে ঢাকার যুব প্রতিষ্ঠান সুহৃদ সংঘ লক্ষীবাজার গীর্জায় আয়োজন করলো ভাষা শহীদদের আত্মার মঙ্গলার্থে খ্রীষ্টযাগ বিশেষ প্রার্থনানুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হলোআমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারিগানের মাঝে পুরোহিত খালি পায়ে  কালো বা বেগুনী রংয়ের পোষাক (যা শোকের অর্থ বহন করে ) পড়ে সেবকসহ বেদীতে প্রবেশ করবেন গীর্জার বেদীর দুপাশে রাখা বড় বিশেষ ধূপ-ধানী থেকে আসবে সুগন্ধী খ্রীষ্ট ভক্তরা খালি পায়ে কালো ব্যাজ পরে আগেই গির্জায় প্রবেশ করবেআমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসিএবংধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরাগান দুটি পর্যায়ক্রমে গাওয়া হবে গীর্জার ভেতরে ধর্মপল্লীর তৎকালীন এদেশীয় স্থানীয় পাল-পুরোহিতের কাছ থেকে আসলো আপত্তি পুরোহিত খালি গায়ে বেদীতে কিছুতেই আসবেন না আরও জানালেন কালো বা বেগুনী রংয়ের কাপড় যাতনাভোগকালীন সময়কার অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোন সময় পড়া যাবে না গীর্জার গান ছাড়া প্রস্তাবিত অন্য কোন গান গাওয়া চলবে না এবং খ্রীষ্টভক্তরাও কালো ব্যাজ বুকে নিয়ে আসতে পারবে না গীর্জায় পাল-পুরোহিতের ধরণের অবস্থান গ্রহণে হতবাক সবাই উপায়াস্তর না দেখে দ্বারস্থ লাম আর্চবিশপ মহোদয়ের সব কিছু শুনে সময়ের প্রয়োজনে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিলেন তিনি সিদ্ধান্ত দিলেন শেষের গান দুটি খ্রীষ্টযাগের শেষ আর্শীবাদের পরে গাওয়া হবে সেদিনের সে যুগসন্ধিক্ষণের সে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের কারণেই প্রথমবারের মত ভাষা শহীদদের আত্মার কল্যাণার্থে বর্তমান বাংলাদেশ মন্ডলীতে প্রথমবারের মত উৎসর্গ হয়েছিল খ্রীষ্টযাগ এবং প্রথমবারের মত গীর্জার ভেতরে গাওয়া সম্ভব হয়েছিল উল্লেখিত গান তিনটি সুহৃদ শিল্পীদেরকে প্রস্তুত করানোতে গীর্জার ভেতরে সুহৃদ শিল্পী দলের সাথে কন্ঠ দিতে সেদিন এগিয়ে এসেছিলেন বাফার শিক্ষক মিঃ মনসুর এবং বর্তমান কালের খ্যাতিমান রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক সেদিনের গাওয়া তিনটি গানই বর্তমানে গীর্জায় ব্যবহৃত গীত-বিতানে অর্ন্তভূক্ত এবং বহূল গীত যার মধ্যে একটি আবার পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতে ১৯৭০ এর ফেব্রুয়ারীতে সুহৃদ নংঘ খ্রীষ্টভক্তদের নিয়ে মন্ডলীর ইতিহাসে প্রথমবারের মত প্রভাতফেরী বের করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করে সুহৃদ সংঘের  সে প্রভাতফেরীর পুরোভাগে সেদিন যোগ দিয়েছিলেন উপমহাদেশের বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ সুহৃদ উপদেষ্ঠা প্রয়াত সমর দাস পরের বছরে সুহৃদ সংঘের প্রভাতফেরীতে যোগ দেয় রমনা তেজগঁাঁয়ের খ্রীষ্টভক্তরা ঘটনার পর থেকেই  বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরূ হয় আঞ্চলিকভাবে শহীদ দিবস পালন

যুববান্ধব আর্চবিশপ গাঙ্গুলী :

আগেই বলেছি, সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার সামাজিক অবক্ষয় রোধের প্রাথমিক শর্ত সবাইকে সংস্কৃতিমনা করে তোলা খ্রীষ্টান সমাজের বিভিন্ন  পর্যায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টিতে ১৯৭৫ সনে  খ্রীষ্টান ছাত্রকল্যাণ সংঘ আয়োজন করে ১ম শিক্ষা সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ( যা পরবর্তীতে নাম ধারণ করেপ্রতিভার অন্বেষণ’)৭৫ এর  সে প্রথম অনুষ্ঠানের শেষদিন পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্চবিশপ টি..গাঙ্গুলী পুরষ্কার বিতরণী সভায়, বিশেষ অতিথি তাঁর ভাষণে  যুব সম্প্রদায়ের সমস্যা তলিয়ে দেখার জন্যে একজন যাজককে যুব সম্প্রদায়ের পরামর্শদাতা সাহায়্যকারী নিযুক্ত করার ঘোষলা দেন (প্রতিবেশী রিপোর্ট , ২৬ শে অক্টোবর, ১৯৭৫) ১৯৭২-৭৩ সনে তাঁরই উদ্দ্যেগে প্রথমবারের  মত জন ছাত্র-যুব নেতা  সুহৃদ  সংঘের প্রথম
সভাপতি  সুহৃদ হিউর্বাট  অরূণ রোজারিও, খ্রীষ্টান ছাত্রকল্যাণ সংঘের প্রথম সভাপতি মিঃ চিত্ত ফ্রান্সিস রিবেরূ এবং আদিবাসী যুব নেতা মিঃ চারূ টিক্কাকে 'নেতৃত্ব প্রশিক্ষণএর জন্যে বিদেশে পাঠানো হয় বাংলাদেশ মন্ডলীর জন্যে উদ্দ্যোগই প্রথম এবং শেষ এর পরে আর ধরণের আর কোন উদ্দ্যোগই নেয়া হয়নি পরবর্তীকালে

চল্লিশ বছর আগে ছাত্র-যুবকদের প্রথম শিক্ষা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা৭৫ এর পুরষ্কার বিতরণী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এসে আর্চবিশপ গাঙ্গুলী যুব সম্প্রদায়ের পরামর্শদাতা সাহায্যকারী রূপে একজন যাজক নিয়োগের আশ্বাস দিলেন ---- আর সে আর্চবিশপের মৃত্যুর ২৯ বছর পরে আর্চবিশপের সে  যুব সম্প্রদায়ের পরামর্শদাতা সাহায্যকারীর বদলে কাথলিক যুব কমিশন--- ইয়ুথ টিম ----- সেবা দল থেকে --- বর্তমানে আবার সিবিসিবি যুব কমিশন নাম নিয়ে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে রং বদলিয়ে পরামর্শদাতা সাহায্যকারী না হয়ে---পরিণত হয়ে দাড়ালো অনেক ক্ষেত্রে ছাত্র-যুব আন্দোলনে বিভেদকারী, প্রতিযোগী ক্ষেত্র বিশেষে প্রতিপক্ষ হিসেবে

মুক্তিসংগ্রাম যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পূর্নগঠনে আর্চবিশপ :   
বঙ্গবন্ধুর সাথে গাঙ্গুলী


হাজার বছরের শ্রেণ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে শুরূ করা বাঙ্গালী জাতির অহংকার মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসকালে তিনি বিভিন্ন খ্রীষ্টান প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিবর্গকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য আশ্রয় দেয়া হয়----- যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ যুদ্ধাহত সবার চিকিৎসা যেন নিশ্চিত করা হয় শুধু তা- নয়, তিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে দেশের বিভিন্ন স্খানে পায়ে হেটে, সাইকেলে চেপে টাকা পয়সা এবং খাবার পেীছে দিতেন আক্রান্তদের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলায় ফিরে এলেন তখন মহাপুবূষকেই দেখি  তাঁর নিজের গলার চেইন তুলে দিতে জাতির জনকের হাতে এবং শুনি বলতে যে এটা বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্থদের কিছুটা হলেও সাহায্য করা যাবে তাঁর সদ্-ইচ্ছা আগ্রহের কারণেই বিস্তার বিস্তৃতি লাভ করে  CRS, CORR, CARITAS এর মত সাহায্য উন্নয়ণ সংস্থা, যে সংস্থাগুলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলায় অবদান রাখার জন্যে প্রশংসিত এবং সমাদৃত হয়েছে সর্বপর্যায়ে মানুষের প্রতি ভালবাসার কারণেই মানবতাকামী মহাপুরূষকে তালিকাভুক্ত করেছিল স্বাধীনতার শত্রুরা বুদ্ধিজীবি তালিকায় তাঁকে  শেষ করে ফেলার জন্যে

ঢাকার দুটি খ্রীষ্টান কম্যুনিটি সেন্টার আর্চবিশগ গাঙ্গুলী 

বাংলাদেশের  খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের যারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন তাদের দেখা সাক্ষাৎ এবং মিলনমেলার তীর্থন্থান ছিল গীর্জা প্রাঙ্গন সাধারণতঃ ধর্মানুরাগী খ্রীষ্টভক্তগণ রবিবারে বিভিন্ন (তখন সারা ঢাকা শহরে সর্বসাকুল্যে গির্জা ছিল মাত্র তিনটি) গির্জায় অনুষ্ঠিত খ্রীষ্টযাগে অংশ নিতেন অনেকে যারা পরিবার পরিজন গ্রামে রেখে কার্যোপলক্ষ্যে ঢাকায় থাকতেন তারাও সবাই সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন রওনা দিতেন গ্রামের পথে তাই রোববার খ্রীষ্টযাগ শেষে সীমিত সময়ের জন্যে  অল্পসংখ্যক খ্রীষ্টভক্তের সাথে দেখা সাক্ষাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ঢাকায় সামাজিকতা তাই প্রায় সবার সামাজিক কর্মকান্ড হয়ে পড়েরবিবাসরীয় খ্রীষ্টানদের মতও অনেক ক্ষেত্রে একদিনব্যাপী সংকীর্ণ বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসার জন্যে খ্রীষ্টভক্তরা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো একটি কম্যুনিটি সেন্টারের  সবাই দ্বারস্থ আর্চবিশপ মহোদয়ের নিকট সংস্কৃতিবান খ্রীষ্টভক্ত হিতৈষী আর্চবিশপ গাঙ্গুলী শুধু আশ্বাসই দিলেন না খুজতে লাগলেন দাতা অবশেষে খুজে বের করলেন জার্মানীর দাতা সংস্থা মিজেরী  কে দাতা সংস্থা পুরো অর্থ দিতে রাজী হলেন কিন্তু শর্ত জুড়ে দিলেন যে তারা জায়গার জন্যে কোন আর্র্থিক সহায়তা দেবেন  না আর্চবিশপ মহোদয় অনেক ভেবে চিন্তে লক্ষীবাজার প্রতিবেশী অফিসের খালি জায়গা থেকে  কিছু অংশ খ্রীষ্টভক্তদের কম্যুনিটি সেন্টারের জন্যে দেবার সিদ্ধান্ত দিলেন   লক্ষীবাজার প্যারিশ কাউন্সিলের সেক্রেটালী মিঃ মন্টু ম্যাথিয়াস লিখেছিলেন কম্যুনিটি সেন্টারের প্রজেক্ট প্রপোজাল।   প্রস্তাবনায় চার তলা বিল্ডিংয়ের নীচের তলায় মিলনায়তন, দোতলায় ঢাকা ক্রেডিট. সুহৃদ সংঘ, মহিলা সংঘের অফিস এবং বয়স্কদের জন্যে প্যারিস রিক্রিয়েশন ক্লাব সবার  লাইব্রেরী, ৩য় তলায় খ্রীষ্টান কমিউনিকেশন সেন্টার, চারতলায় চাকুরীজীবি জিওগ্রাফিক ব্যাচেলর ছাত্রদের  জন্যে  ছাত্রদের  জন্যে ডরমিটরী এর প্রস্তাব করা হয় খ্রীষ্টিয় যোগাযোগ কেন্দ্রে প্রবেশের  জন্যে  প্রতিবেশী  পত্রিকা অফিস থেকে সরাসরি সিড়ি তৈরীর ব্যবস্থাও রাখা হয় প্রস্তাবনায় সেন্টারটি নির্মাণের  শেষ পর্যায়ে  আর্চবিশপ  গাঙ্গুলী  মারা  যান  সাথে সাথে মন্ডলীর প্রশাসন এবার জমির মূল্য দাবী করে দাতা সংস্থা কর্তৃক প্রেরিত অর্থ-চালান আটকিয়ে রাখলো অনেক দিন নির্মাণ কাজ  বন্ধ  থাকার  পরে  লক্ষীবাজার প্যারিশ কাউন্সিল  কিছু অর্থসহ ৪র্থ তলা পুরোপুরি ছেড়ে দিতে বাধ্য এর ফলে অর্থের অভাবে মূল পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়লো চাকুরীজীবি  যুবক ছাত্রদের  জন্যে ডরমিটরী, লাইব্রেরীর আসবাবপত্র, বই ক্রয়, বিঘ্নিত হলো মিলনায়তনের সাউন্ড সিস্টেম লাইট সংযোজন এবং পুরো মিলনায়তন সাউন্ড প্রুফ করা নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রয়াত আর্চবিশপকে শ্রদ্ধা  জানাতে খ্রীষ্টভক্তরা মিলনায়তনের নামকরণ করে আর্চবিশপ টি,, গাঙ্গুলী মিলনায়তন তেজগাঁয়ের কম্যুনিটি সেন্টারের নির্মাণ ব্যয়ের অর্থ যোগান-দাতা এবং জমির ব্যবস্থাও করেন  আর্চবিশপ টি,, গাঙ্গুলী সিএসসি

আমার শ্রদ্ধাঞ্জলী  আমাদের বাংলাদেশ কাথলিক মন্ডলীর বিভিন্ন বড় বড় কর্মকান্ডের পরিকল্পনার রূপকার তার বাস্তবায়নে নেতৃত্ব  দেবার জন্যে তো বটেই ----- সাধারণ খ্রীষ্টভক্তদের সুখ-দুঃখের সাথে একাত্মতা প্রকাশসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক  আন্দোলনে খ্রীষ্টান ছাত্র-ছাত্রী, খ্রীষ্টান যুব সম্প্রদায় সাধারণ খ্রীষ্টভক্তসহ সবার প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সহানুভূতিশীল সর্ম্পক, সহায়ক মনোভাব এবং সহায়ক ভূমিকা পালনের জন্যেও জ্ঞানতাপস আর্চবিশপ টি,, গাঙ্গুলী সিএসসি কে 'ঈশ্বরের সেবক' ঘোষণার শুভক্ষণে আজকে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় মেতে উঠলে চলবে না বরং সাধুপুরূষ ধর্মাধ্যক্ষের মন মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা-ভাবনা, ধ্যান ধারণা কর্মপ্রণালীকে যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন    অনুধাবন করে  আমাদের সবাইকে নির্ধারণ করতে হবে আমাদের পরবর্তী কর্মকেীশল নবনিযুক্ত আর্চবিশপ থেকে শুরূ করে সকল ধর্মব্রতধারী-ধারিনীসহ সকল খ্রীষ্টভক্তদের মনে হদয়ে অঙ্কুরিক হয়ে জেগে উঠুক আমাদের সবার প্রিয় পরলোকগত আর্চবিশপ টি,, গাঙ্গুলী সিএসসি ' সে চিন্তা চেতনা

সবশেষে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই প্রিয় আর্চবিশপকে আমরা কখনো ভুলবোনা আমাদের প্রিয় মানুষটিকে ---- --শুধুমাত্র প্রথম বাঙ্গালী আর্চবিশপ বার কারণেই নয় বরং ছাত্রযুব তথা খ্রীষ্ট-ভক্তসুহৃদ সাধু পুরূষ পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ টি, , গাঙ্গুলীকে সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, খ্রীষ্ট-ভক্তদের জন্যে সব কিছু করার আকাঙ্খা, তাঁর ত্যাগী ভাবমূর্তি নিয়ে ---- অনুকরণীয় আদর্শ হয়েই থাকবেন পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ সকল খ্রীষ্টভক্তের হৃদয়ে, এটাকেই খ্রীষ্টভক্তদের উচ্চারিত প্রথম শেষ তথ্য বলে গ্রহণ করবেন

  
ডাঃ নেভেল ডিঃ রোজারিও: লেখক সুহৃদ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন সভাপতি, খ্রীষ্টান ছাত্রকল্যাণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রাক্তন সভাপতিএবং বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রাক্তন মহাসচিব ।
                   
তথ্য সহায়িকা   অনুসরণীকা এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকারে:
   বাংলাদেশে খ্রীষ্টমন্ডলীর উদ্ভব : খ্রীষ্টান ছাত্রকল্যাণ সংঘের গঠন  প্রক্রিয়া : কিছু উল্লে¬খযোগ্য ঘটনা : ডাঃ নেভেল ডিঃ রোজারিও : রজত জয়ন্তী   স্মরণিকা সংখ্যা
  উৎসবে জাতীয় চেতনা : উইলিয়াম অতুল :স্বপন খ্রীষ্টাফার পিউরীফিকেশন সম্পাদিত : অনল :  বর্ষ  সংখ্যা     
 নেভেল ডিঃ রোজরিও সম্পাদিত : অনল: ১ম বর্ষ ২য় সংখ্যা  ১৯৭৫ ৩য় বর্ষ :২য় সংখ্যা :১৯৭৭
   পুরোনো সে হারানো কথায় : প্রেক্ষাপট : অনল প্রতিভার  অন্বেষণ :  ডাঃ নেভেল ডিঃ রোজারিও  : অনল : ২০০৪
৫া    পুরোনো সে হারানো কথায় : প্রেক্ষাপট:  যুব--মানসের  আর্চবিশপ টি,,গাঙ্গুলী : ডাঃ নেভেল ডিঃ রোজারিও  :  
   সাপ্তাহিক প্রতিবেশী : ৬৪ বর্ষ   ৩৬তম সংখ্যা :২০০৬
৬া    পুরোনো সে হারানো কথায়: প্রেক্ষাপট : ছাত্র -মানসের  আর্চবিশপ টি,,গাঙ্গুলী  :  ডাঃ নেভেল ডিঃ রোজারিও :                  

 অনল : ৩২ বর্ষ : প্রতিভার অন্বেষণ বিশেষ সংখ্যা : ২০০৬